গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ও অধিভুক্ত সিলেটের প্রথম বেসরকারি পলিটেকনিক হেডওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট-এ ৪ বছর (৮ সেমিষ্টার) মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমে (২০২৪- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ) সরাসরি ভর্তি কার্যক্রম চলছে।
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে মানুষের সমস্যা সমাধান এবং জীবনকে সহজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োগ। মূলত, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ৪ বছর মেয়াদী যে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় তাকে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এস এস সি সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ছাত্র-ছাত্রী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হবার যোগ্যতা লাভ করে থাকেন।
বিশ্বের যে সব দেশ কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সেই সব দেশ তত বেশি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের কর্মধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশের সকল শ্রেণির শিক্ষিত জনগোষ্ঠি সমন্বিত অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে কারিগরি শিক্ষা । বিশেষ করে মধ্যমস্তরের কারিগরি শিক্ষা। অর্থাৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নের এটি সরাসরি কারিগরি ও দক্ষ জনশক্তি ব্যবহারের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠির সম্পৃক্ততার হারের উপর গড় বাৎসরিক মাথাপিছু আয় নিবিড়ভাবে নির্ভরশীল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করায় আজ তারা উন্নত বিশ্বের কাতারে অবস্থান নিশ্চিত করেছে। বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আর এ কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব। নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একমাত্র এবং পরিক্ষিত মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা। সারা বিশ্বে জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা বেশ জনপ্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর মর্যাদাপূর্ণ চাকরি অথবা পছন্দমত ব্যবসা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট সারা বিশ্বে স্বীকৃত। সেশনজট মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা ।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম এর ক্ষেত্রেঃযে কোন শিক্ষা বোর্ড অথবা বাংলােদশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্টিত এস.এস.সি/ দাখিল/ এস.এস.সি (ভােকেশনাল)/ দাখিল (ভােকেশনাল) সমমানের পরীক্ষায় যে কোন সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ নিয়ে আবেদন করতে পারবে।
পলিটেকনিকে পড়তে ইচ্ছুকরা সবাই কিন্তু সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট-এ সুযোগ পায় না। রেজাল্ট, সিটের স্বল্পতা সহ বিভিন্ন কারণেই তা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সামনে চলে আসে প্রাইভেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলো। কিন্তু অনেকেরই মনে দ্বিধা থাকে যে হয়তো বেসরকারিতে পড়ার কারণে তার রেজাল্টের মূল্যায়ন হবে না, কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হবে। ধারনাটি আসলে ভুল। সরকারি এবং প্রাইভেট পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচি একই, এমনকি রেজাল্টের মানও একই। যার ফলে চাকরির ক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈষম্যের ব্যাপার থাকে না।
হেডওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে রয়েছে-
হেডওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর ৫টি ( কম্পিউটার, সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, আর্কিটেকচার এবং টেক্সটাইল ) টেকনোলজিতে ডিগ্রি প্রধান করা হয়।আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন টেকনোলজিতে ভর্তি হতে পারেন।